এস এম তাজাম্মুল, মণিরামপুরঃ চলতি বছরের ৩০শে জুন কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাতে সাইনবোর্ড আছে কার্যালয় নাই এমন প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ হয় বাংলাদেশ স্কাউটস মণিরামপুর উপজেলা কমিটির বিরুদ্ধে। সংবাদ প্রকাশে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ স্কাউটসের চলতি দায়িত্বে থাকা নির্বাহী পরিচালক মোঃ শামসুল হকে’র নজরে আসলে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ স্কাউটসের উপজেলা সভাপতি নিশাত তামান্না সহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম,কমিশনার মোঃ মাকসুদুর রহমান’কে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন।বাংলাদেশ স্কাউটসের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভবনের নিচতলায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পাশেই ফেলে রাখা পূর্ব নির্ধারিত কক্ষটি তড়িঘড়ি করে পরিষ্কার করতে দেখায় যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে,ঘঠনার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও আবারও সেই জরাজীর্ণতা ফিরে এসেছে উপজেলা কমিটির ব্যাস্ততার টালবাহয়ানায়। সরেজমিনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,জাতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের উপজেলার কার্যালয়ে ২৪ঘন্টা ঝুলছে তালা,ঘরের সামনেই স্টোর রুমের মতো ময়লা আবর্জনার স্তূপ! উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার এক কর্মচারী জানান,আপনারা লেখালেখির পর পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ দেখা গেলেও এখনো পর্যন্ত কোন দিন খুলতে দেখিনি অফিসের তালা।
উপজেলা স্কাউটসের সভাপতির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে,স্থায়ী ভাবে কমিটি গঠন না থাকায় প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে থেকে সব ধরনের কার্যক্রম আয়ত্বে রাখা কঠিন বেপার। সভাপতির পরিবর্তে সমস্ত দায়-দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদক বাগডাংগা দোহাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদুল ইসলাম ও কমিশনারের দায়িত্বে থাকা প্রভাতী বিদ্যাপিঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাকসুদুূুর রহমানের রাখার কথা থাকলেও দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।
তথ্য আছে দীর্ঘ এক বছরের বেশি চলমান বাংলাদেশ স্কাউটসের মণিরামপুর উপজেলার এ কমিটির কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডকুমেন্টস বা অফিস না পাওয়া গেলেও উপজেলা ব্যাপি স্কাউটসের আওতাভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত উঠানো হয় চাঁদা। জাতীয় সকল দিবস,প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন সহ বিভিদ অনুষ্ঠানকে উপলক্ষে করে উপজেলা স্কাউটসের উর্ধতন কর্মকর্তারা জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা তুলে করে চলেছেন পকেটভারী।
সর্বশেষ স্কাউটসের ২০২৫ সালের কার্নিভালের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সরকারি বরাদ্ধ বাবদ একটি মোটা টাকার চেক দিলেও বে-আইনি ভাবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কার্নিভাল বাবদ চাদা সংগ্রহ সহ ইতিপূর্বেও চলমান এ কমিটির সদস্যরা স্কাউটসের নামে টাকা তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। গোপনতথ্য আছে,মণিরামপুর উপজেলার শিক্ষা কেন্দ্রীক ও প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষক নেতাদের যে সমস্ত শিক্ষক দায়িত্বে আছেন সকলেই বাংলাদেশ স্কাউটসের উপজেলা কমিটির নিয়ন্ত্রক।
দায়িত্বে থাকাদের মধ্য কমিশনার পদে আছেন প্রভাতী বিদ্যাপিঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম মাকসুদুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক পদে বাগডাংগা দোহাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হামিদুল ইসলাম।
জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশার কারন জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মণিরামপুর উপজেলা স্কাউটস কমিশনার জিএম মাকসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হামিদুল ইসলাম’কে অসংখ্যবার কল করলেও কেউ ফোন তোলেন নি। ইতিপূর্বে অভিযোগের পাহাড় নিয়ে বিতর্কিত শিক্ষক জিএম মাকসুদুর রহমানের প্রতিষ্ঠান প্রভাতী বিদ্যাপিঠে গেলেও নির্ধারিত কক্ষে পাওয়া যানি তাকে। একটানা কল করে গত বুধবার ২৯শে অক্টোবর অপরিচিত নাম্বার পেয়ে কল ধরেন সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক হামিদুল ইসলাম! তিনি জানান,দলীয় কোন মিটিংয়ে আছেন এ শিক্ষক নেতা! পরিচয় দিলে অফিসে আসবেন বলেই চমকে গেলে এ প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন-আপনাদের তো অফিসই নাই যাবো কোথায়। শোনা মাত্র ফোনকল কেটে দেন হামিদুল ইসলাম।
 মণিরামপুর উপজেলা স্কাউটসের এ কমিটির কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষাঙ্গন থেকে প্রতিটি মহলের ব্যাক্তি করে চলেছেন সমালোচনা ও আক্ষেপ। জাতীয় একটি সংগঠনের উপজেলা শাখার এহেন কর্মকান্ডের বিপরীতে মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু মুত্তালেব আলম নিজেও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন এক স্বাক্ষাতকারে। তার জানামতে মণিরামপুর মহিলা শাখার পাশে একটি কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হয় এখনো!সাইনবোর্ড আছে কার্যালয় নাই জানতে পেরে তিনি বলেছেন, অবশই এমন সংগঠনের কার্যালয় থাকা অতিব জরুরী।
অভিযোগ সমূহের সকল তথ্য যাচাই সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ স্কাউটসের কেন্দ্রীয় কমিটির চলতি নির্বাহী পরিচালক মোঃ শামসুল হক এ ঘঠনায় চরম নিন্দা জানিয়েছেন। তবে সাইনবোর্ড আছে কার্যালয় নাই এ নিয়ে কয়েকমাস আগে যশোর জেলা কমিটির সদস্যরা মণিরামপুর উপজেলা স্কাউটস কমিটির কমিশনার প্রভাতী বিদ্যাপিঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম মাকসুদুর রহমান’কে কার্যালয় দেখ ভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো বলে জানা গেছে।
									ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
                        
                        
                    
                    
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
													
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।